২০১৯ এ গণপরিবহনে ৫৯ নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার

MD: SAIFUL    |    ০১:০৩ পিএম, ২০২০-০২-২৪


২০১৯ এ গণপরিবহনে ৫৯ নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার

বিদায়ী ২০১৯ সালে গণপরিবহনে ৫২টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় ৫৯ নারী ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে। দেশের সড়ক, রেল ও নৌ পথে এসব ঘটনা সংগঠিত হয়। বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির এক প্রতিবেদনে এই চিত্র উঠে এসেছে। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদ বিশ্লেষণ করে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায়, সড়ক পথে ৪৪টি ,রেল পথে ০৪টি ও নৌ পথে ০৪টি নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। গণমাধ্যেেম প্রকাশিত তথ্য অনুসারে ৪৪টি ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং ৯৩ আসামী গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সব ঘটনার ১৬ টি ধর্ষণ, ১২টি গণধর্ষণ, ০৯টি ধর্ষণের চেষ্টা, ১৫টি যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটেছে।

২০১৭ সালে গণপরিবহনে চাঞ্চল্যকর রূপা গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দেশবাসী ফুঁসে উঠলে জনগণের তীব্র প্রতিবাদের কারণে স্বল্পতম সময়ে এই ঘটনার বিচার সম্পন্ন হয়। ০৪ পরিবহন শ্রমিককে ফাঁসি ও ০১ জনকে সাত বছরের কারাদন্ড দেওয়া হলে তৎসময়ে এ ধরনের ঘটনা কিছুটা কমলেও বর্তমানে নিপীড়নকারী, ধর্ষক, হত্যাকারীদের মামলা, গ্রেফতার ও বিচারের দীর্ঘসূত্রিতার কারণে এ ধরনের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে।

এছাড়াও গণপরিবহনে যাতায়াতকালে নারীরা অসম্মানজনক আচরণ, নিপীড়ন, হেনস্তা, যৌন হয়রানির শিকার হচ্ছে। শুধুমাত্র পরিবহন শ্রমিক, চালক, হেলপার নয় কখনো কখনো সহগামী পুরুষযাত্রী দ্বারাও এ ধরনের যৌন সহিংসতার শিকার হচ্ছে।

গণপরিবহনে নারী নির্যাতন বন্ধে সুপারিশমালা ঃ

১. গণপরিবহনে সিসি ক্যামেরা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা।
২. চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের আলাদা আলাদা নেইম প্লেইটসহ পোষাক বাধ্যতামূলক করা।
৩. চালক, হেলপার ও সুপারভাইজারের নিয়োগপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র ও ছবি নিয়ে ডাটাবেইজ তৈরি করা।
৪. গাড়ির ভিতরে নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠানের হটলাইন নাম্বার, ফোন নাম্বার ও গাড়ির নাম্বার সাটানোর ব্যবস্থা করা।
৫. গণপরিবহনের সংখ্যা বাড়ানো।
৬. বাস মিনিবাসে নারীর জন্য সংরক্ষিত আসন দরজার আসে পাশে রাখা।
৭. গণপরিবহনে অস্বচ্ছ ও বিজ্ঞাপনে মোড়ানো কাচেঁর ব্যবহার বন্ধ করা।
৮. গণপরিবহনে যৌন সহিংসতার মামলা, গ্রেফতার ও বিচার দ্রুত শেষ করা।